ঢাকা, সোমবার ২৭ মার্চ ২০২৩, ১১:৫৩ অপরাহ্ন
মৃত্যুর পরেও এভারেস্টের চূড়ায় ‘বসে ছিলেন’ পর্বতারোহী, উদ্ধার হল দেহ
এনবিএস ওয়েবডেস্ক

মৃত্যুর পরেও এভারেস্টের চূড়ায় ‘বসে ছিলেন’ পর্বতারোহী, উদ্ধার হল দেহ

অতীতে বেশ কয়েকবার এভারেস্টের চূড়ায় (Everest Climber) উঠেছেন গিমি তেনজি শেরপা। ৩৮ বছর বয়সী ওই নেপালি পর্বতারোহী (Everest Climber) বৃহস্পতিবার মারা গেলেন পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গের চূড়াতেই। এবছর পর্বতারোহণের মরসুমে এই নিয়ে দ্বিতীয় প্রাণহানি ঘটল হিমালয়ে। এভারেস্টের যে অঞ্চলে গিমি তেনজি শেরপার (Everest Climber) মৃত্যু ঘটেছে তা ‘ফুটবল ফিল্ড’ নামে পরিচিত। ওই এলাকাটি তুলনামূলকভাবে নিরাপদ। তার কাছে আছে খুম্বু আইসফল। ওই এলাকাটি অত্যন্ত বিপজ্জনক।

আমেরিকার এক্সপিডিশন কোম্পানি ইন্টারন্যাশনাল মাউন্টেন গাইডসের তরফে পাসাং শেরিং শেরপা (Everest Climber) বলেন, “গিমির দেহ নামিয়ে আনা হয়েছে। কোনও দুর্ঘটনায় তাঁর মৃত্যু হয়নি। তিনি হাই অল্টিচুড সিকনেসের শিকার হয়েছেন।” গিমির দেহটি পাহাড়ে বসে থাকা অবস্থানে পাওয়া যায়। তখনও তাঁর পিছনে ছিল ব্যাক প্যাক। ইন্টারন্যাশনাল মাউন্টেন গাইডসের এক্সপিডিশন লিডার গ্রেগ ভেরনোভাজ বলেন, গিমির মৃত্যুতে পর্বতারোহীরা আঘাত পেয়েছেন। আমরা মৃতের পরিবারের উদ্দেশে সহানুভূতি জানাই।

এভারেস্টের পথে যাঁরা মারা যান, তাঁদের এক তৃতীয়াংশ নেপালি গাইড আর কুলি। তাঁদের ভরসায় বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে শত শত পর্বতারোহী এভারেস্টের শীর্ষে পৌঁছন। এভারেস্টের চূড়ার উচ্চতা ৮৮৪৮ মিটার (২৯ হাজার ২৮ ফুট)। সেখানে উঠতে প্রত্যেক পর্বতারোহীর অন্তত একজন গাইড লাগে। প্রত্যেক পর্বতারোহী এভারেস্টের অধিক উচ্চতায় ক্যাম্পে তাঁবু, খাবার ও অক্সিজেন বহন করার জন্য কুলি ভাড়া করেন।

মঙ্গলবার ধৌলাগিরিতে এক গ্রিক অভিযাত্রীর মৃত্যু হয়। ৮১৬৭ মিটার বা ২৬ হাজার ৭৯৫ ফুট উঁচুতে পাওয়া যায় অভিযাত্রী অ্যান্টনি সাইকারিসের দেহ। তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৯।

 

পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গগুলির মধ্যে আটটি রয়েছে নেপালে। প্রতি বছর বসন্তে ও গ্রীষ্মে পর্বতারোহণের জন্য বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে শত শত মানুষ আসেন নেপালে। ২০২০ সালে করোনা অতিমহামারীর জন্য পর্বতারোহণ বন্ধ ছিল। গত বছর ফের তা শুরু হয়।খবর দ্য ওয়ালের /এনবিএস/২০২২/একে

ইউটিউবে এনবিএস-এর সব খবর দেখুন। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের চ্যানেলটি: