বৈশাখের আমেজ দেখা গেল না চলচ্চিত্রাঙ্গনে
বৃহস্পতিবার ছিল পহেলা বৈশাখ। কিন্তু এদিন এফডিসি চত্বরের চিত্র ছিল আগের মতোই। বন্ধ থাকায় আরো ঝিমিয়ে ছিল এফডিসি। খোলা ছিল কয়েকটি সংগঠনের কার্যালয়। চিত্রগ্রাহক সংস্থা, পরিচালক সমিতি এবং শিল্পী সমিতি খোলা ছিল – কিন্তু কোনো সংগঠনেই এই উপলক্ষ্যে কোনো আয়োজন করেনি বা কোথাও কোনো আমেজ পাওয়া যায়নি বৈশাখের। পরিচালক সমিতির সামনের গেইটটি সাদামাটাভাবে সাজানো হয়েছে। ভিতরে কয়েকজন পরিচালক বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন। শিল্পী সমিতির কোনো নেতা বা সুপরিচিত কোনো তারকা না থাকলেও নতুনভাবে যুক্ত বঞ্চিত ১০৩ জন শিল্পীর উপস্থিতিতে সমিতি প্রাঙ্গন ছিল মুখরিত।
তারা এসেছেন নিয়মিত শিল্পী হিসেবে তালিকাভুক্তর জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দিতে। সকলের মধ্যেই দেখা গেল একটা স্বত:স্ফূর্ত ভাব। বৈশাখের কোনো আয়োজন নেই কেন জানতে চাওয়া হলে শিল্পীর সমিতির একজন বলেন, প্রথমত মহামারি এবং দ্বিতীয়ত রমজান মাস এজন্য কেউ আগ্রহ দেখাননি। এছাড়া পশ্চিম দিকে গেইট হওয়া এফডিসিতে নিতান্তই কাজ ছাড়া ঘুর পথে কেউ আসতে চান না। বিশেষ করে যাদের গাড়ি আছে তাদেরকে ট্রাক স্ট্যান্ড অতিক্রম করে এফডিসিতে আসতে হয়। এজন্য এফডিসিতে এখন চিত্রকর্মীদের সমাগমও কম হয়। প্রশ্ন হচ্ছে, মহামারির মধ্যে শিল্পী সমিতির নির্বাচন থেমে থাকেনি। প্রযোজক পরিবেশক সমিতির নির্বাচন আগামী ২১ মে। তারও প্রস্তুতি চলছে এবং নির্বাচনও হবে।
সুতরাং মহামারি নিয়ে ভীতি নেই সমাজের কোনো স্তরেই। শিল্পী সমিতির উক্ত শিল্পী বলেন, ‘ঈদ নিয়ে সবাই ব্যস্ত। শিল্পী সমিতি এখন কাজ করে যাচ্ছে, কিছু সিনিয়র শিল্পীকে সমিতির পক্ষ থেকে নতুন কমিটি কিছু ঈদ উপহার দিয়ে সম্মানিত করবেন বলে এবং ঈদকে উপলক্ষ্য করে সমিতির আরো কিছু পরিকল্পনা আছে, সেগুলো বাস্তবায়নের জন্যও চেষ্টা করছে।’ তিনি বলেন, ঈদের পর চলচ্চিত্রশিল্প নতুনভাবে উজ্জীবিত হয়ে উঠবে। এটা তারা বিশ্বাস করেন।
ইউটিউবে এনবিএস-এর সব খবর দেখুন। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের চ্যানেলটি: