ঢাকা, সোমবার ২৭ মার্চ ২০২৩, ১১:৪৬ অপরাহ্ন
কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে অ্যানিমিয়া, গর্ভাবস্থায় নানা শারীরিক সমস্যা দূরে রাখবে পেয়ারা!
এনবিএস ওয়েবডেস্ক

কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে অ্যানিমিয়া, গর্ভাবস্থায় নানা শারীরিক সমস্যা দূরে রাখবে পেয়ারা!

 

অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় প্রায়ই মুখরোচক খাবার খেতে ইচ্ছা করে। কিন্তু বেশি ফাস্ট ফুড কিংবা বাইরের খাবার এই সময় না খাওয়াই ভাল, তাহলে নানান শারীরিক সমস্যা হতে পারে। গর্ভাবস্থায় চিকিৎসকরা সাধারণত ফলমূল, শাকসবজি, ড্রাই ফ্রুটস এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন।

তবে বেশ কিছু ফল আবার শরীরের ক্ষতি করে দিতে পারে। কিন্তু পেয়ারা এমন একটি ফল যা স্বাস্থ্যোপযোগী এবং অনেকেই খেতে ভালোবাসেন। তাই খিদে পেলে পেয়ারা খেতেই পারেন। এতে মুখের স্বাদও বদলাবে আর পুষ্টিও পাবেন ভরপুর। পেয়ারা খুবই পুষ্টিকর ফল। অনেক চিকিৎসকই গর্ভাবস্থায় পেয়ারা খাওয়ার কথা বলেন। পেয়ারা নানাবিধ ভিটামিন, খনিজ এবং ফলিক অ্যাসিডে সমৃদ্ধ। জেনে নিন, গর্ভাবস্থায় পেয়ারা কী কী উপকার করে – রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে পেয়ারা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং রক্ত জমাট বাঁধতে দেয় না, ফলে রক্তের তরলতা বজায় থাকে।

এছাড়া, গর্ভাবস্থায় পেয়ারা খাওয়ার ফলে গর্ভপাত এবং অকাল জন্মের সম্ভাবনাও অনেকটাই কমে। Ajker Rashifal : কেমন কাটবে আজ সারাদিন? দেখুন ০৪ এপ্রিলের রাশিফল কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে পেয়ারা ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ায় রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। উচ্চ কোলেস্টেরল থাকলে কার্ডিওভাসকুলারজনিত সমস্যা হতে পারে, যা গর্ভাবস্থায় বেশ বিপজ্জনক। তাই পেয়ারা খান এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখুন।

Weekly Horoscope : কেমন যাবে এই সপ্তাহ? দেখুন সাপ্তাহিক রাশিফল অ্যানিমিয়ার ঝুঁকি কমায় গর্ভাবস্থায় রক্তশূন্যতার সবচেয়ে সাধারণ কারণ হল শরীরে আয়রনের অভাব। আয়রনের অভাবজনিত রক্তাল্পতায়, রক্ত​​সারা শরীরে পর্যাপ্ত অক্সিজেন বহন করতে পারে না। এতে মা এবং শিশুর স্বাস্থ্যের উপর খারাপ প্রভাব পড়তে পারে। তবে পেয়ারার মতো ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ খাবার আয়রন শোষণে সাহায্য করে, ফলে রক্তাল্পতার সম্ভাবনা অনেকটাই কমানো যায়।

Ajker Rashifal : আজ সারাদিন আপনার কেমন কাটবে? দেখুন ০৩ এপ্রিলের রাশিফল পেশী এবং স্নায়ু রিল্যাক্স করতে সাহায্য করে পেয়ারা ম্যাগনেশিয়াম সমৃদ্ধ হওয়ায় গর্ভাবস্থায় পেশী এবং স্নায়ুকে রিল্যাক্স রাখতে সাহায্য করে। যার ফলে অবসাদ মুক্ত থাকা যায় এবং মাথা ঠান্ডা হয়। ইনফেকশন প্রতিরোধ করে পেয়ারায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে, পাশাপাশি ভিটামিন এ, সি এবং ই সমৃদ্ধ। এতে পলিফেনল এবং ক্যারোটিনয়েডও রয়েছে।

এই ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলি ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে এবং অসুস্থতার ঝুঁকি কমে। গর্ভকালীন ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করে পেয়ারা গর্ভকালীন ডায়াবেটিস প্রতিরোধেও সাহায্য করে। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় অনেক মহিলারই রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়। পেয়ারা জটিল কার্বোহাইড্রেট এবং ফাইবারে ভরপুর, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। হজমশক্তি বাড়ায় পেয়ারা হজমের সমস্যা দূর করে এবং হজম প্রক্রিয়া আরও সহজ করে তোলে।

পেয়ারায় পটাসিয়ামের উপস্থিতি অ্যাসিডিটি, গা গোলানো এবং অম্বলের সমস্যা কমাতে পারে। শিশুর বৃদ্ধিতে সাহায্য করে ফলিক অ্যাসিড, ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন B9 এর দুর্দান্ত উৎস পেয়ারা। এই ফল শিশুর মস্তিষ্ক এবং হাড়ের সুস্থভাবে বিকাশে সাহায্য করে।

কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে গর্ভাবস্থায় কোষ্ঠকাঠিন্য এবং হেমোরয়েড খুবই সাধারণ সমস্যা। হরমোনের পরিবর্তনের কারণে এই সব সমস্যা দেখা দেয়। তবে পেয়ারা খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হয়। পেয়ারা ফাইবার এবং জল সমৃদ্ধ হওয়ায় কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময় করে। বীজযুক্ত পেয়ারা খেলেও হেমোরয়েড প্রতিরোধ হয়।খবর ওয়ান ইন্ডিয়া /এনবিএস/২০২২/একে
 

ইউটিউবে এনবিএস-এর সব খবর দেখুন। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের চ্যানেলটি: